নুরুল আলম:: ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মহিলা অধিদপ্তর পরিচালিত ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) প্রকল্পের গুইমারা উপজেলার তিন ইউনিয়নের ১ হাজার ৫০ জন উপকারভোগীর (কার্ডপ্রাপ্ত) ৩৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে সদর ইউনিয়নে ৩শ ৫০ জনের ১২ লাখ ৩২ হাজার টাকা, হাফছড়ি ইউনিয়নের ৪শ ৮০ জনের ১৬ লাখ ৮৯ হাজার ৬শ টাকা, সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের ২শ ২০ জনের ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৪শ টাকা রয়েছে। আগে এই কর্মসূচির নাম ছিল ভিজিডি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী উপকারভোগীদের নামে ব্যাংকে স্ব স্ব সঞ্চয়ী ব্যাংক হিসাব খোলার মাধ্যমে মাসে ২শ ২০ টাকা করে সঞ্চয় জমা করার কথা। কিন্তু গত ১৫ মাসে উপকারভোগীদের অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা জমা করা হয়নি। ব্যাংকে স্ব স্ব নামে দশ টাকার হিসাব খোলার কথা থাকলেও ৩শ টাকা নিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টে ওই তিনশ টাকা ছাড়া আর কোনো টাকা নেই।
অভিযোগ আছে, ওই প্রকল্পের আওতায় অসচ্ছল, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত নারী ও প্রতিবন্ধীদের কার্ড দেওয়ার কথা থাকলেও এ নিয়ম মানা হয়নি।
গুইমারা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্মল নারায়ণ ত্রিপুরা বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের উপকারভোগীদের সব হিসাব আপডেট আছে। প্রতি মাসেই উপকারভোগীদের টাকা হিসাবে জমা করা হয়। এ ইউনিয়নে কোনো অনিয়ম করা হয়নি।
উপকারভোগীদের অর্থ জমা না হওয়ার বিষয়ে জানতে হাফছড়ি ও সিন্দুকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মংশে চৌধুরী ও রেদাক মারমার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে গুইমারা উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার বলেন, গুইমারা সদর ইউনিয়নে কোনো অনিয়ম হয়নি। হাফছড়ি ও সিন্দুকছড়ি ইউপির চেয়ারম্যান ও সচিবদের বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও উপকারভোগীদের স্ব স্ব অ্যাকাউন্টে টাকা জমা না দিয়ে নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছেন চেয়ারম্যান-মেম্বার-সচিবরা। এটা অনিয়ম হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রত্যেক চেয়ারম্যানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ২৫ এপ্রিল কিছু টাকা জমা করা হয়েছে বলে জেনেছি।
গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী বলেন, উপকারভোগীদের টাকা আত্মসাৎ বা না দেওয়ার সুযোগ নেই। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। অতি দ্রুত এসব বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply