নুরুল আলম:: খাগড়াছড়িতে প্রতিযোগিতা করে পাহাড় কাটার মহোৎসব চলছে। প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় পাহাড় খেকোরা আরও বেপরোয়া হয়ে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে পাহাড়ের বুকে যন্ত্র চালাচ্ছে। এতে করে পরিবেশ ব্যাপক আকারে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
পরিদর্শনে দেখা যায়, খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রতিনিয়ত চলছে পাহাড় খেকোদের তাণ্ডব। ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে প্রভাবশালীরা। নিচে থেকে মাটি কাটার কারণে পাহাড়ের উপরে বসবাসকারী রয়েছে আতঙ্কে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন পাহাড় কাটা দিনের পর দিন চললেও নির্বিকার প্রশাসন। পাহাড়ের মাটি কাটার কারণে সামনে বর্ষা মৌসুমে আবারও পাহাড় ধসে প্রাণহানীর আশংকা করছে ক্ষতিগ্রস্তরা। তবে পাহাড় কাটার দায়ে অভিযুক্তরা বলছে ভিন্ন কথা।
খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকার পাহাড় কাটার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, তারা পাহাড় কাটছেন না। মাটি ড্রেসিং করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বসতবাড়ি নির্মাণের নামে খাগড়াছড়ি গুইমারা, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, রামগড়, লক্ষ্মীছড়ি, মহালছড়ি, পানছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে পাহাড় কাটার মহাৎসব।
পাহাড় কাটার কারণে আতঙ্কিত প্রতিবেশীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এরা খুবই প্রভাবশালী। প্রশাসনকে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না।
খাগড়াছড়ির পরিবেশ কর্মী বলেন, প্রায় প্রতি বছর খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে প্রাণহানীর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাড়ি-ঘর ও সম্পদ। অথচ পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই বলে তিনি অভিযোগ করেন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, কাউকে পাহাড় কাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। পাহাড় কাটা থেকে বিরত রাখতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছে প্রশাসন।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply