নুরুল আলম:: পাহাড়ি-বাঙ্গালির মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্প্রীতির মাধ্যমেই পাবর্ত্য এলাকায় স্থায়ী শান্তি আসবে। এখানে পাহাড়ি বাঙ্গালি সবাই থাকবে। মিলেমিশে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকলে উন্নয়ন হবে। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।
দীর্ঘ ১৮ বছর পর সোমবার (১১ নভেম্বর) নিজ এলাকা রামগড়ে অনুষ্ঠিত বিশাল সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াদুদ ভূইয়া এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, হিংসা -হানাহানি আর নয়। পাবর্ত্য চট্টগ্রাম অবারিত সম্পদ ও সম্ভাবনার স্থান। প্রাকৃতিক সম্পদের ভান্ডার সঠিকভাবে ব্যবহার করে যেন এখানকার অধিবাসীর ভাগ্যের উন্নয়ন না ঘটে সেজন্য দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্র বানচাল করতে পাহাড়ি- বাঙ্গালি সবাইকে পারষ্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা রেখে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সমাবেশে উপস্থিত বিপুল সংখ্যক মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের বাধায় আমি আমার জন্মভূমিতে আসতে পারিনি। দীর্ঘ ১৮ বছর পর এসেও রামগড়ের মানুষের ভালবাসায় আমি আপ্লুত।
সোমবার বিকালে রামগড় উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে রামগড় বাস টার্মিনালে অনুষ্ঠিত এ সম্প্রীতি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়ক ও জেলা বিএনপির সহ সভাপতি হাফেজ আহম্মেদ ভূইয়া সভাপতিত্ব করেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্ত্যব্য দেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি প্রবীন চন্দ্র চাকমা, সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার, জেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা জাকিয়া জিনাব বীথি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড.আব্দুল মালেক মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, অনিমেশ চাকমা রিংকু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব রাজা, জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুবুল আলম সবুজ, রামগড় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. ইব্রাহিম খলিল, সিনিয়র সহ সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সেফায়েত মোর্শেদ মিঠু, পৌর বিএনপির সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন, সহ সভাপতি সুজায়েত আলী, সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন হারুণ প্রমুখ।
সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য সোমবার দুপুর থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হতে হাজার-হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে এসে উপস্থিত হয়। উক্ত সমাবেশ দুপুরে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলমান থাকে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply