“পার্বত্যাঞ্চলের অস্ত্রধারীদের ইন্ধনদাতা’দের হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তির মালিকদের হিসাব দিতে হবে”।
নুরুল আলম:: “দল যার যার নাগরিক পরিষদ সবার” স্লোগানে পথচলা পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে খাগড়াছড়িতে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সকাল সাড়ে ১১টায় “পাকুয়াখালী ৩৫ কাঠুরিয়া হত্যার বিচার,পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার,সশস্ত্র কর্মকান্ড বন্ধ,গুম,খুন,চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে সংগঠনটি। বিক্ষোভ মিছিলটি চেঙ্গি এস্কায়ার থেকে শুরু করে শাপলা চত্বর হয়ে আদালত সড়ক ঘুরে মুক্তমঞ্চে সে সমাবেশ করে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার লোকমান হোসেন এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো: আলমগীর কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন,কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু তাহের,খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক এস.এম মাসুম রানা,সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান,পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি শাখার সভাপতি সুমন আহমেদ,সাধারন সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খলিলসহ সিনিয়র নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি,বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অস্থির পার্বত্যবাসী। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিকে বৈষম্যমুলক কালো চুক্তি আখ্যায়িত করে অভিলম্বে তা বাতিল না করলে পাহাড়ে অসহযোগ আন্দোলনের হুশিয়ারী জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতারা।
পাহাড়ে আধিবাসী দাবিকারীরা বৈষম্য সৃষ্টিকারী উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ভিন্ন দেশ থেকে আসারা নিজেদের পাহাড়ি,ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী,আদিবাসী বলে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় তুলে ধরে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামকে ছোট করাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামকে দ্বি-খন্ডিত করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বাধীন বাংলাদেশের অখন্ড অংশ এবং এখানে বাঙালিদের বিতাড়িত করার ষড়যন্ত্র কোন দিন পুরণ হবেনা বলে হুশিয়ারি জানান বাঙালি নেতারা।
একই সাথে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালিদের শিক্ষা,চাকুরী,নিয়োগ,ঠিকাদারি থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টরে দুরে রাখতে বৈষম্যমুলক নীল নকশার অবৈধ কালো চুক্তি বাতিল না হলে দূর্বার অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে বৈষম্য দুর করে সকল জাতি গোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে বাঙালিদের অধিকার আদায় করে নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি জানান নেতারা।
বাঙালিদের পিঁছিয়ে রাখার নানা ইতিহাস তুলে ধরে বক্তৃতায় নেতৃবৃন্দরা আরো অভিযোগ করেন, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ,উন্নয়ন বোর্ড,পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রনালয় পাহাড়িদের নিয়োগ ও পাহাড়ে বাঙালি হত্যাকাণ্ড,বেপরোয়া চাঁদাবাজি করছে পাহাড়ের সন্ত্রাসীরা। তারা কারা? প্রশ্ন তুলে পাহাড়ের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিকে কালো চুক্তি আখ্যায়িত করে তা বাতিলের দাবী তোলেন বক্তারা।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply