নুরুল আলম:: তিন পার্বত্য জেলার, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে পাহাড়ের ভাজে ভাজে সুবাস ছড়াচ্ছে পাকা আনারস। খাগড়াছড়ি জেলার, মানিকছড়ি, গুইমারা, মাটিরাঙ্গা ও মহালছড়ি, রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর, বাঘাইছড়ি, লংগদু ও বান্দরবানের থানচি, রুমা, রোয়াংছড়ি ও চিম্বুকে প্রতিটি পাহাড়ের ঢালে এখন শোভা পাচ্ছে আনারস। আকারে বড়, রসালো ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হচ্ছে আনারস। ফলন ভালো ও দাম ভালো পাওয়ায় খুশি জুমিয়ারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পার্বত্যাঞ্চলের তিন জেলার পাহাড়ে শোভা পাচ্ছে আনারস। প্রতিটি পাহাড় পাকা আনারসে ছেয়ে গেছে। প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল মাসে পাহাড়ের জমি প্রস্তুত করে লাগানো হয় আনারসের চারা এবং মে-জুন মাসে বিক্রির উপযোগী হয়। আর কাঁধে থুরুং নিয়ে বাগান থেকে বিক্রয় উপযোগী এসব আনারস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন জুমিয়ারা। সেই আনারস বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় হাট বাজার ও পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে।
এছাড়াও পাইকারি বিক্রেতারা বাগানে গিয়ে আনারস ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন জায়গা পরিবহন করে নিয়ে যাচ্ছে। পাহাড়ে উৎপাদিত জায়ান্ট কিউ আনারস আকারে বড় ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে ভালো। বড় সাইজের প্রতি জোড়া আনারস বাজারে বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। শুধু তাই নয় পাহাড়ে উৎপাদিত আনারস সরবরাহ হচ্ছে চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, সাতকানিয়া, ফেনী, বারইয়ার হাট, ঢাকা, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে। পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া জায়ান্ট কিউ আনারস চাষের উপযোগী হওয়ায় স্বল্প পরিশ্রম ও কম খরচে অধিক লাভবান হয় চাষিরা।
অপর এক কৃষক বলেন, এ বছর ছয় একর আনারসের বাগান করেছি। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলেও ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে চাহিদা থাকায় দামো মোটামুটি ভালো পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য চাষের চেয়ে আনারস চাষে পরিচর্যা তেমন একটা না করলেও চলে। অনেক সময় একই জমিতে দুবার ফলনও পাওয়া যায়।
তবে টানা ৩ থেকে ৪দিন ভাড়ী বর্ষনের কারনে কৃষক ও ক্রেতা উভয় আনারস ক্রয় বিক্রয় করতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিত হতে হচ্ছে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply