নুরুল আলম:: রাঙামাটির সাজেকের বাঘাইহাটে দুই আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে পরিবহন শ্রমিক নাঈম ইসলাম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর সমর্থনে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে ডাকা আধাবেলা হরতাল শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) হরতালের কারণে লক্ষ্মীছড়িতে দোকানপাট বন্ধ ছিল। চলেনি দূরপাল্লার বা অভ্যন্তরীণ সড়কের কোন যানবাহন। হতালের সমর্থনে বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করতে দেখা যায়।
হরতাল শেষে বাস স্টেশনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নাঈম ইসলামের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মো. বিল্লাল হোসেন বেপারি, মো. নাহিয়ান আখন্দ, মো. কোরবান হোসেন গাজি, আনোয়ার হোসেন মাওলা ও মো. আনিসুর রহমান প্রমুখ।
লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল চৌধুরী জানান, সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ও সর্বাত্মকভাবে হরতাল পাালন করেছে।
লক্ষ্মীছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে রাঙামাটির সাজেকের বাঘাইহাট বাজারে পাহাড়ের আঞ্চলিক দুই সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এবং ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় শান্তি পরিবহনের সুপারভাইজার মো. নাঈমের বুকে গুলি লাগলে তিনি নিহত হন।
বুধবার (১৯ জুন) বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে নাঈমের লাশ নিজ বাড়ি লক্ষ্মীছড়িতে পৌঁছালে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। এ সময় স্বজনদের আহজারিতে আকাশ ভারী হয়ে ওঠে। পরে সন্ধ্যায় দুর্গম লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার দূর্গাছড়ি এলাকায় স্থানীয় কবরস্থানে নাঈমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, নাঈম এর নিজ বাড়ি লক্ষ্মীছড়ির জুর্গাছড়ি এলাকায়। নাঈম জন্মের আগেই তার পিতার মো. নজরুল ইসলাম নিখোঁজ হন। ৪ বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে নাঈম সবার ছোট। নাঈমের স্ত্রী অন্তসত্ত্বা।
এদিকে পরিবহন শ্রমিক মো. নাঈম (২৭) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নাঈমের চাচা বাবুল হোসেন অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে সাজেক থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply