নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি-২৯৮ আসনে দুইবারের সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে ভৌগলিক-প্রাকৃতিক- সড়ক ও নৌ যোগাযোগের দিক থেকে ভালো অবস্থানে থাকা খাগড়াছড়ি জেলার সম্ভাবনা অসীম। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এখানকার ট্যুরিজম ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মতৎপরতা প্রত্যাশিত গতিতে আগাচ্ছে না। তাই আগামীবার নির্বাচিত হলে জেলার শিক্ষার প্রসার এবং অর্থনৈতিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণে মনোযোগ দেয়া হবে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি জেলা শহরের মহিলা কলেজ ও মিলনপুর এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা-বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ- সমাজের নানা শ্রেণী- পেশার মানুষের সাথে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ এবং পথসভায় বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন নৌকার প্রার্থী কুজেন্দ লাল ত্রিপুরা।
এসময় তিনি বলেন, জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, নার্সিং ইনস্টিটিউট, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ প্রতিটি উপজেলার টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপনে সরকারের পলিসি লেভেলে প্রস্তাবনা জমা দেয়া হয়েছে। এরি মধ্যে এম. এ. হান্নান ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কাজ শুরু হয়ে গেছে। দীঘিনালায় টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পন্ন করেছে। উপজেলা থেকে ইউনিয়ন লেভেলে সড়ক যোগাযোগ-বিদ্যুৎ-কমিউনিটি ক্লিনিক-ইন্টারনেটসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দিতে কাজ করছে উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ও বিভাগগুলো।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, নৌকা’র নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চাইথোঅং মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য হাজী জাফর আহাম্মদ, জেলা পরিষদ সদস্য যথাক্রমে কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া- সুদর্শী চাকমা ও শতরুপা চাকমা, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি তপন কান্তি দে, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. আশুতোষ চাকমা, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্রইসাঞো চৌধুরী, স্থানীয় হেডম্যান উক্যসাইন চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি টেকো চাকমা, যুবনেতা বিহানু চৌধুরী এবং মহিলা লীগ নেত্রী সুইচিংথুই মারমাসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply