প্রায় সাত ঘণ্টার ভ্রমণক্লান্তিও স্পর্শ করেনি সাকিব আল হাসানকে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনকে নিয়ে বিমানবন্দর থেকে সোজা চলে এলেন দেরাদুনের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। এই মাঠে আগে কখনো খেলা হয়নি। মাঠটা স্বচক্ষেই দেখে যেতে চাইলেন সাকিব।
আফগানিস্তান সিরিজের আগে কাল একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ঝালিয়ে নেবে বাংলাদেশ। প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানের মূল দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের খেলার কথা রয়েছে। যদি তাঁরা খেলেনই বাংলাদেশ ওপেনার সৌম্য সরকার এটিকে ঝালিয়ে নেওয়ার দারুণ একটা সুযোগ দেখছেন, ‘যদি তাদের মূল বোলাররা অনুশীলন ম্যাচটা খেলে, তবে তাদের দল সম্পর্কে একটা ধারণা পেতে সহায়তা করবে আমাদের। ব্যক্তিগতভাবে সিরিজটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেখানেই খেলি ভালো খেলতে চাই। চেষ্টা করব নিজেকে মেলে ধরতে, যেন নিজের আত্মবিশ্বাসটা বাড়াতে পারি।’
দলে জায়গাটা পোক্ত করতে হলে ব্যাটিংয়ে সৌম্যকে ধারাবাহিক হতেই হবে। মোসাদ্দেক হোসেনের একটু সুবিধা আছে। যেহেতু লোয়ার মিডল অর্ডারে নামেন, সৌম্যর মতো বড় ইনিংস খেলার সুযোগ কম। শেষ দিকে দ্রুত গতিতে রান তুলবেন আর খণ্ডকালীন বোলার হিসেবে বোলিংয়েও অবদান রাখেন—মোসাদ্দেকের কাছে দলের প্রত্যাশাটাই এমন। দুই বিভাগেই যেহেতু অবদান রাখার সুযোগ আছে, এটিই তাঁকে নির্ভার রাখছে, ‘একটা আত্মবিশ্বাস আছে, আমার সুযোগ বেশি। যেহেতু আমি অলরাউন্ডার। একটা পাশে ভালো না করলে অন্যদিকে পুষিয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকে। একটা দিকে কিছু না হলে টেনশন করার মতো কিছু নেই আমার।’
You cannot copy content of this page
Leave a Reply